
প্রধান শিক্ষকঃ মোঃ আসাদুল ইসলাম সানটু
সম্মানিত অভিভাবক,
একজন শিক্ষার্থীর সাফল্য নির্ভর করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সমন্বিত কর্মপ্রয়াসে। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার প্রিয় কন্যাটি নিয়মিত কলেজে আসছে কিনা এবং ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে কিনা। নিয়মিত মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করলে এবং শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কোচিং এর প্রয়োজন হয় না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এ যুগে সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়ছে। প্রযুক্তির ব্যবহার সমাজের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনছে। তবে প্রযুক্তির অবাধ ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার কখনো কখনো ব্যক্তি , সমাজ এমনকি রাষ্ট্রের জন্যও চরম অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে। তাই শিশু (১৮ বছরের নিচে) ও অল্প বয়সীদের মোবাইল ল্যাপটপ, ট্যাব, কম্পিউটার প্রভৃতি ব্যবহারের ব্যাপারে অভিভাবক হিসেবে যথাযথ সচেতন থাকা প্রয়োজন। অন্যদিকে নিরাপত্তা ও ভালেো পাত্র পাওয়ার অজুহাতে অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে নয়, বরং মেয়ের শিক্ষার জন্য যথাযথ বিনিয়োগ করে তাকে শিক্ষিত, সচেতন আত্নপ্রত্যয়ী ও আত্ননির্ভরশীল করে তুলুন। তাহলেই সে ভবিষ্যৎ জীবনে সকল বাধা অতিক্রম করতে পারবে এবং পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে।
প্রিয় শিক্ষার্থী,
লেখাপড়াকে ভয় বা বোঝা নয় বরং আনন্দের সাথে গ্রহণ করতে হবে। পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী দৈনিক পাঠ সম্পন্ন কর। পড়া জমিয়ে রাখা, ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সময় নষ্ট করা ও ক্লাসে অমনোযোগী থাকা মোটেও কাজের কথা নয়। কারণ সময় কারো জন্য বসে থাকবে না এবং জীবনও কখনো থেমে থাকবে না। সামনের দিকে চলাই এর ধর্ম। সময় ও জীবনের গুরুত্ব দিয়ে আত্ম-অনুসন্ধানী হও আর নিজেকে প্রস্ফুটিত কর সবার মাঝে। কেননা পরিবার, সমাজ ও দেশ পরিচালনায় তোমাকেই পালন করতে হবে মুখ্য ভুমিকা। তাই নিজেকে তৈরি করার এখনই উপযুক্ত সময়।
তোমার চেষ্টা, পরিশ্রম আর সততা দিয়ে নিজেকে করবে আগামীর যোগ্য নাগরিক। আমি সে আশা করি।
তোমাদের সবার প্রতি রইলো আমার এক আকাশ শুভেচ্ছা।